পারভেজ সরকার এর খুঁটির জোর কোথায়??
পারভেজ সরকার এর খুঁটির জোর কোথায়??
নাম: পারভেজ হোসেন সরকার
পিতাঃ প্রথম পেজে পিতাঃ দাউদকান্দি-তিতাস বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম বেলায়েত হোসেন সরকার। উল্লেখ্য স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে তিনি রাজাকার বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে সূেত্রঃ অপারেশন কিল এন্ড বার্ন, পৃষ্ঠা নং- ৮৪)1
মাতাঃ বৃহত্তর কুমিল্লা মহিলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি নাজমা বেগম শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ এস এস সি
আওয়ামীলীগে যোগদান ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট। কিন্তু পরবর্তীতে দল ও তিতাস বাসীর সংকটময় মুহূর্তে এলাকা ত্যাগ করে ঢাকায় বসবাস করেন এবং গত নির্বাচনেও তিনি এলাকায় আসেননি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের আর্টিকেল ৪৭(খ) স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে যে, কেউ যদি দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয় তাহলে সে অটোমেটিক বহিষ্কার। পারভেজ হোসেন সরকার শুধু নিজেই দলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেননি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেন।
ছবিতে পারভেজ হোসেন সরকারের কুকীর্তি
আরো যত অভিযোগ
১। ২০০৮ সালে তিতাসের জিয়ার কান্দির কুরবান আলী হত্যার সাথে জড়িত
২। কুরবান আলী মার্ডার এর ৩ মাস পর জিয়ার কান্দির সফিক চেয়ারম্যন কে খুন করে
৩। কৃষ্ণপুরের কালাম এর পিতাকে খুন
৪। ক্ষমতার লোভে জগতপুরের মাসুমকে নিজে খুন করে অন্যকে ফাসানোর চেষ্টা যা পরে তদন্তে উঠে আসে
৫। মাসুম পুরের কামাল চেয়ারম্যান কে খুন করে নিজের লোক নুরনবি কে চেয়ারম্যন বানানো
৬। সাইদ এবং মোহামমদ আলী নামের দুজনকে এক সাথে খুন
৭। ইসলাম পুলিসের গুলিতে গুরতর জখম হয় কিনতু পারভেজের হুকুমে ইসলামের সাথের লোকেরা তাকেখুন করে বিশাল আংকের টাকা দিয়ে মিথ্যা মামলা করে আওয়ামীলীগ নেতাদের নামে
৮। নদীর ডাকাতি করতে গিয়ে বিপুল অস্ত্র সহকারে ধরা পড়ে তার লোক শাওন
৯। ডাকাতি করতে গিয়ে বিপুল অস্ত্র সহকার ধরা পড়ে তার লোক মহসিন
১০। আমিরাবাদ মাঠ দখল করে শহিদ মিনার ভেঙ্গে দিয়ে বিশাল প্লট করে বিক্রয় করার নীলনকশা
১১। বাতাকান্দি বাজারে সিএনজি স্টেশন থেকে চাদা তুলতে গিয়ে গোলাগুলি করে পারভেজ হোসেন
সরকার, এই ঘটনায় তার নামে মামলাও হয়।
১২। গৌরিপুর বাজারে নিজের লোকজন দিয়ে নিয়মিত ছিনতাই করানো।
(নিন্মে দেওয়া হলো আবেদন এর হুবহু কপি)
তারিখঃ-১৮/০১/২০২৪
বরাবর
মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়,
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ।
বিষয়ঃ অভিযোগ ও সাহায্যের আবেদন।
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি ফযলে হাসান ওয়ালিদ, পিতা-নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, প্লট নং-২৭৫/এল-১, হোল্ডিং নং-৩০/এ, রোড নং-১৬ (নতুন) ২৭ (পুরাতন), শেখ কামাল সরণী, ধানমণ্ডি, ঢাকা প্লটটির গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ও নামজারির মাধ্যমে মালিক এবং বহুবছর যাবত সরকারী আইন মেনে সকল বিভাগের কর প্রদানের মাধ্যমে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি।
জনাব আমার প্লটে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্যক অনুমোদন নিয়ে তিনটি দোকানঘর নির্মাণ করি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানের নিকট ভাড়া দেই যাহার নাম যদ্ধক্রমে চিয়ার্স রেস্টুরেন্ট, নিউ লাইফ ফার্মা এবং বই বিচিত্রা। বর্তমানে আমার ভারাটিয়া চিয়ার্স রেস্টুরেন্টর মালিকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে আমার জীবন হুমকির সম্মুখীন। তাদের কাছে আমার সাথে নবায়নকৃত কোন চুক্তি নেই এবং ২০১৮ সাল হতে বর্তমান পযন্ত চিয়ার্স প্রতিষ্ঠানের নিকট বহু টাকা ভাড়া বকেয়া।
চুক্তি নবায়ন ও বকেয়া ভাড়া পরিশোধের জন্য তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করতে গেলে চিয়ার্স এর মালিকগণ বহিরাগত পারভেজ নামের সন্ত্রাসী ও তার সহযোগীদের নিয়ে আমার উপর হামলা করে, পিস্তুল প্রদর্শন করে ও আমার জায়গায় আমাকে না আসার জন্য হুমকি প্রদান করে এবং বলে ‘দোকান ফিরে পাইতে হইলে কোটি টাকা চাদা দিতে হবে’, এমতাবস্তায় আমি এবং আমার পরিবার সন্ত্রাসীদের অবৈধ দাবী ও হুমকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। যার পরিপেক্ষিতে আমি মোহাম্মদপুর থানায় পরপর তিনটি সাধারন ডাইরি করি যাহার নম্বর ৯৮৩, ১২২১ এবং ৩০৪। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি চিয়ার্স কৃতপক্ষ আমার সাথে করা চুক্তির শর্ত লম্বন করে পারভেজ হোসেন সরকার নামে এক সন্ত্রাসী ব্যক্তির মাধ্যমে চিয়ার্স প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে।
পারভেজ হোসেন সরকারকে দোকান ঘর ছাড়ার কথা বললে সে একই ভাবে জীবন নাশের হুমকি দেয় ও চাঁদা দাবী করে, যার পরিপেক্ষিতে আমি পারভেজ হোসেন সরকার, পিতা- মৃত বেলায়েত হোসেন সরকার, ঠিকানা- বাড়ি নং-এপার্টমেন্ট এ/৫, বসতি রেজিনর, হোল্ডিং নং-৩০, রোড নং- ১৬ (নতুন) ধানমণ্ডি, ঢাকা- এবং তার সহকারিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ক্যাজ তৈরি ও চাঁদা দাবির মামলা করি, যাহা বর্তমানে সি.আই ডি রিপোর্টের অপেক্ষায়। আমার ভাড়াটিয়া চিয়ার্স কৃতপক্ষ ও পারভেজ হোসেন ও সাথে সংশ্লিষ্টরা মিলে আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিখ্যা দেওয়ানী ক্রিমিনাল ও অপহরণ মামলা করে যাহা আদালতে মিথ্যা প্রমাণ হওয়ায়, আলহামদুলিল্লাহ আমার পক্ষে মহামান্য বিচারক রায় প্রদান করেন।
তাহারা অবৈধ ভাবে আমার দোকান ঘরটি ব্যবহার উদ্দেশ্যে, পারভেজ হোসেন সরকার তার নিজ নামে আমার ঠিকানা ব্যবহার করে একটি অবৈধ ট্রেড লাইসেন্স করে যাহা আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগের মাধ্যমে বাতিল করি। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই যে, বিগত দিনে তাদের প্রাণ নাশের হুমকি, হয়রানি ও চাঁদা দাবির প্রেক্ষিতে আমি বিগত ১১-০৭-২০১৯ ইং তারিখে তৎকালীন মাননীয় আই জি মহোদয়ের সাথে দেখা করি ও একটি লিখিত অভিযোগ পত্রের মাধ্যমে সাহায্য প্রাথনা করি যাহা ডায়রি নং ৮০১ তারিখ ১৬/০৭/২০১৯ ।উক্ত ডায়রির প্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুর থানাতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয় কিন্তু অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সকল পদক্ষেপ অচল হয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় পারভেজ হোসেন সরকারের সাথে বর্তমান সরকারের সুবিধাভোগী কিছু রাজনৈতিক নেতার সখ্যতা আছে যাদের সে তার অনৈতিক কাজে ব্যবহার করে। এমতাবস্থায় কোন বৈধ কাগজ বিহীন অবৈধ ভাবে চলমান সন্ত্রাসিদের আড্ডাখানায় পরিণত হওয়া আমার মালিকানাধিন জায়গায় অবস্থিত চিয়ার্স রেস্টুরেন্টটি প্রশাসনিক সহযোগিতার মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া অতি জরুরী। তা না হলে আমার জিবনের হুমকি, আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানি চলমান থাকবে।
অতএব, মহোদয় উপরোক্ত ঘটনা ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে ন্যায় বিচারের স্বার্থে সদয় বিবেচনা পূর্বক যথাযথ আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমাকে সাহায্যের সু-মর্জি হোক, আপনার নিকট এই কামনা করছি।
ধন্যবাদন্তে
আপনার বিশ্বস্ত
ফজলে হাসান ওয়ালিদ